পরিবাহীর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয়
তাকেরেজিস্ট্যান্স বলে।
যে বস্তু রেজিস্ট্যান্স’এর ধর্ম অক্ষুন্ন রাখে তাকে রেজিষ্টর বলে । এর প্রতীক R (আর) এবং একক Ohm (ওহম)।
রেজিস্টর এর সাংকেতিক চিহ্ন :
রেজিস্টর দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে । নিচে কিছু প্রকার রেজিস্টর এর চিত্র দেওয়া হলো ।
কিছু কিছু রেজিস্টর আছে যাদের মান পরিবর্তন করা যায় । এদেরকে ভেরিয়াবেল রেজিস্টর (Variable Resistor বলে । এগুলো দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে । নিচে কিছু ভেরিয়াবেল রেজিষ্টর এর চিত্র দেওয়া হলো ।
এই রেজিষ্টর গুলো কিছু নির্দিষ্ট মান রয়েছে । কিন্তু এত সরু জিনিসের উপর মান লিখে রাখা সম্ভব নয় । তাই রেজিষ্টর এর মান কালার কোডের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় । ভালো করে খেয়াল করে দেখ প্রত্যেকটি রেজিষ্টর এর উপর বিভিন্ন রঙের কিছু সরু সরু দাগ দেওয়া আছে । আসলে এই দাগ গুলোই এই সব রেজিষ্টর এর মান নির্দেশ করে । এই রঙিন দাগ গুলোকে রেজিষ্টর এর কালার কোড বলা হয়ে থাকে ।
রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় :
এখন আমরা দেখবো কিভাবে রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় করা যায় ।
সাধারনত দুটি পদ্ধতিতে রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় করা যায় ।
১) কালার কোডের মাধ্যমে
২) মিটারের মাধ্যমে
কালার কোডের মাধ্যমে রেজিষ্টর এর মান নির্ণয় :
আমরা আগেই জেনেছি , রেজিষ্টর এর উপর যে কালার দাগ দেওয়া থাকে, এই দাগ গুলোর রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু মান । এই মান গুলো মনে রাখার জন্য আমরা একটি লাইন মনে রাখবো ।
B B ROY Good Boy Very Good Worker. ( বি বি রই গুড বয় , ভেরি গুড ওয়ারকার )
এখানে ইংরেজী বড় হাতের লিখা গুলো (capital letter) পর্যায়ক্রমে কিছু রং নির্দেশ করছে ।
যেমন :
B = Black = 0
B = Brown = 1
R = Red = 2
O = Orange = 3
Y = Yellow = 4
G = Green = 5
B = Blue = 6
V = Violet = 7
G = Grey = 8
W = White = 9
Tolerance :
Gold = +/- 5%
Silver = +/- 10%
কোন কালার না থাকলে টলারেন্স হবে = +/- 20%
রেজিষ্টর এর কালার কোডের দিকে ভালো করে খেয়াল করে দেখ । একটি কালার যুক্ত দাগ কে প্রথম তিনটি দাগ থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে । এই সরিয়ে রাখা কালার ব্যান্ডটি কে টলারেন্স (Tolerance) বলে । এই টলারেন্স ব্যান্ড এর বিপরীত দিক থেকে কালার কোড গননা শুরু করতে হয় । টলারেন্স এর বিপরীত দিকের প্রথম কালারটিকে -"প্রথম কালার ব্যান্ড" , দ্বিতীয় কালারটিকে -"দ্বিতীয় কালার ব্যান্ড" , এবং তৃতীয় কালারটিকে -"তৃতীয় কালার ব্যান্ড" বলা হয় । সাধারণত বেশীরভাগ রেজিষ্টর গুলো চার -ব্যান্ডের হয়ে থাকে । এছাড়া কিছু কিছু পাঁচ - ব্যান্ডের রেজিষ্টর ও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় । রেজিষ্টর কত ব্যান্ডের এটা কোন বিষয় নয় । মান নির্ণয়ের পদ্ধতি সব একই ।
মান নির্নয়ের ক্ষেত্রে (প্রথম কালারের এর মান) তারপর (দ্বিতীয় কালারের মান) তারপর (তৃতীয় কালারের মান যত হবে, ঠিক ততগুলো শূণ্য (0) বসাতে হবে ।
যেমন :
মনে কর কোন রেজিষ্টর এর গায়ে কালার সংখ্যা যথাক্রমে : Brown Black Red Gold
রেজিষ্টর এর কালার কোড হতে আমরা জানি ,
Brown = 1
Black = 0
Red = 2
Gold = tolerance = +/-5%
অতএব মান = 1 0 00 +/-5%
এখানে যেহেতু প্রথম কালার Brown যার মান ১ তাই প্রথম ১ বসালাম । দ্বিতীয় কালার Black যার মান শূন্য (0) তাই 0 বসালাম । এবার দেখ তৃতীয় কালার Red যার মান হলো দুই (২) । তাহল দুইটি শূণ্য বসাতে হবে । তাহলে সম্পূর্ণ মান হলো = ১০০০ ।
রেজিষ্টর এর একক যেহেতু ওহম । তাই এর মান হলো = ১০০০ ওহম । (1000 Ω)
এই মান কে 1000 দিয়ে ভাগ করলে এর একক হবে = (1000 ÷ 1000) KΩ = 1KΩ বা (১ কিলোওহম) ।
টলারেন্স :
রেজিষ্টর এর মান মূলত তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তীত হয় । আর এই পরিবর্তনের মান কত টুকু পরিবর্তীত হতে পারে তা এই টলারেন্স এর মান হিসাব করে বের করা যায় ।
যেমন এখানে টলারেন্স কালার আছে Gold যার মান হরো +/-5% । আমরা রেজিষ্টর এর মান পেয়েছিলাম
১ কিলো ওহম এবং এই ১ কিলো ওহম এর ৫% হয় = (1 * 5 % ) = 0.05 ।
অতএব,
1 + 0.05 = 1.05
1 - 0.05 = 0.95
সুতরাং এই ১ কিলো ওহম রেজিষ্টর এর মান ০.৯৫ থেকে ১.০৫ পর্যন্ত কমবেশী হতে পারে ।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো : -
আমি যতোটুকু জান্তাম তার সাথে মিল আছে
ReplyDelete