সৃষ্টির শুরু থেকেই প্রকৃতিই মানুষের সবচেয়ে বড় বিদ্যালয় আর এর থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা মানুষের পথ দেখায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
লব্ধ জ্ঞান পুস্তকে লিপিবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই মূলত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়ে, আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মানেই শিক্ষা সনদ বা সার্টিফিকেট, আর জীবনে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে সার্টিফিকেট শিক্ষার বিকল্প নেই ।
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কি সার্টিফিকেট অর্জন??
শিক্ষা মানুষের স্বাধীন চিন্তা চেতনার প্রতিপালক, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যক্তিত্বের বিকাশ,সৃষ্টিশীল বুদ্ধিমত্তার চাষ, সুন্দর চিন্তা চেতনা স্বাধীনচেতা সুস্থ সবল বিবেকের চাষাবাদ ।
শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনাই আমার এই প্রবন্ধের মূল লক্ষ্য।
শিক্ষা বা ‘শিক্ষণ-তত্ত্ব’ মানব দর্শনের প্রথম ধাপ। শিক্ষার উদ্দেশ্যই- মানুষের গভীরতম অনুভূতি বিকাশ – ব্যক্তিত্ব বা ‘মানব প্রকৃতি’ সন্ধান প্রদান। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাচার তাগিদে অতীতে মানব সম্প্রদায় জ্ঞানের সন্ধান করে এসেছে যুগে যুগে। মানব প্রকৃতি অনুভব-ক্ষম বুদ্ধিমত্তা এবং এর চাষ ও সঠিক উন্নয়ন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ‘সৃষ্টিশীল বুদ্ধিমত্তা’ আর তার উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান নির্ধারণ জ্ঞান চর্চার মূল উদ্দেশ্য।————————-
শিক্ষার একটি মুল শাখা হলো আদর্শের অনুসন্ধান এবং তার বিশ্লেষণ। এই পৃথিবীতে যুগে যুগে মহান ব্যক্তিত্ব জন্ম নিয়েছেন আর তাদের রয়েছে কর্মময় জীবন। তারা মানব সভ্যতার উন্নয়নে যেভাবে কাজ করেছেন তেমনি অনেক মহান ব্যক্তিত্ব ধর্ম, জাতি, রাজনীতি, সমাজ বিজ্ঞান, বিশ্ব বহির্বিশ্ব , জীব জগৎ সবকিছু নিয়ে কাজ করে গেছেন। তাদের কর্মময় জীবন আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে, জীব জগৎ নিয়ে ভাবতে শেখায়, নিজের চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। তাঁদের আদর্শ আমাদের নিঃস্বার্থ হতে শিখায়, শিখায় পরের কারণে নিজের স্বার্থ বলি দিতে।
“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এই জীবন জগৎ সবই দাও”
এই বাক্য যেনো আজকাল শুধু পুঁথিগত বিদ্যা হয়ে গেছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের করে তুলছে স্বার্থপর, আমরা শুধু নিজেদের নিয়ে চিন্তা করতে শিখি, নিজেদের নিয়ে ভাবি।
আমাদের কাছে বর্তমান সময়ে সার্টিফিকেটটাই অর্জন মূল উদ্দেশ্য। মোটামোটি ভালো একটি স্কুলে ভর্তির জন্য ছোটবেলা থেকে শুরু হলো আমাদের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা এবং সাথে কিছু অর্থ যোগ আমাদের সুযোগ এনে দেয় একটি ভালো স্কুলে ভর্তির। তার পর থেকে শুরু হলো বুঝে না বুঝে মুখস্থ করা। মুখস্থ করে পাঠ্যবই করলাম ঠোটস্থ, পরীক্ষার খাতায় গিয়ে দিলাম গড় গড় বমি করে, পরীক্ষার পরদিনই ঝেড়ে ফেললাম সবকিছু মাথা থেকে। যা যথা-কিঞ্চিত থাকলো মাথায় তাও সময়ের ব্যবধানে মুছে যায় চেম্বার থেকে।
মুখস্থ লিখে এস,এস,সি – এইচ, এস,সি – অনার্স – মাষ্টার্স সব পাস করি, হাতে সার্টফিকেট আর মাথা একদম ফাঁকা। বিশ্বাস হচ্ছে না!!!???? মাস্টার্স পাস একটি ছাত্র/ছাত্রীকে আপনি বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে একটি ২৫০শব্দের রচনা লিখতে বলেন ইংরেজিতে, পারছে না!!?? তাহলে তাকে বাংলায় লিখতে বলেন দেখি। এবং আমার ধারনা অনেক – অনেক ছাত্র ছাত্রীই তা পারবে না।
এর কারণ কি?
কারণ হয়তো আমরা বর্তমান সময়ে শিক্ষা (নাকি মুখস্থ-বিদ্যা) নিচ্ছি শুধু মাত্র একটি সম্মানজনক চাকরির জন্য। শিক্ষাকে নিয়ে গিয়েছি বাণিজ্যিক পর্যায়ে। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করে কোনো মতে একটি সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিচ্ছি শিক্ষার্থীদের হাতে। তারা কি শিখছে নাকি শিখছে না সেটা আদৌ মুখ্য নয়।
আমাদের ব্যবহারিক জীবনে আমাদের অর্জিত শিক্ষা কি আদৌ কাজে লাগছে?
আমার অনেক বন্ধু আছে যারা কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, সোসিওলজি নিয়ে লেখাপড়া করে এখন ব্যাংকার কোনো প্রতিষ্ঠানের সেলস অফিসার কিংবা প্রবাসী।
একটা ছোট্ট পরীক্ষা করতে পারেন, “ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি” এই নিয়ে সরকারী চাকুরীজীবীদের মধ্যে একটি রচনা প্রতিযোগিতা দিতে পারেন। প্রতিযোগিতার ফলাফলে যারা ১ম ,২য়,৩য় হবে তাদের মধ্যে একটু খোঁজ খবর নিন, দেখুন তো তারা ঘুষখোর কি না… কারণ আমার ধারনা ঘুষখোররাই পুরস্কৃত হবে। তাহলে খেয়াল করু এখানে তাদের নৈতিক শিক্ষার কি মূল্য থাকছে??
যে শিক্ষা আমাদের অর্থের নিশ্চয়তা দেয়, ফ্ল্যাটের গাড়ি বাড়ি সুন্দরী নারীর নিশ্চয়তা দেয়… কিন্তু নূন্যতম নৈতিক শিক্ষা দেয় না সেই শিক্ষা গায়ে একদলা থু থু দিলেও কম হবে।
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কি সার্টিফিকেট অর্জন??
শিক্ষা মানুষের স্বাধীন চিন্তা চেতনার প্রতিপালক, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যক্তিত্বের বিকাশ,সৃষ্টিশীল বুদ্ধিমত্তার চাষ, সুন্দর চিন্তা চেতনা স্বাধীনচেতা সুস্থ সবল বিবেকের চাষাবাদ ।
শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনাই আমার এই প্রবন্ধের মূল লক্ষ্য।
শিক্ষা বা ‘শিক্ষণ-তত্ত্ব’ মানব দর্শনের প্রথম ধাপ। শিক্ষার উদ্দেশ্যই- মানুষের গভীরতম অনুভূতি বিকাশ – ব্যক্তিত্ব বা ‘মানব প্রকৃতি’ সন্ধান প্রদান। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাচার তাগিদে অতীতে মানব সম্প্রদায় জ্ঞানের সন্ধান করে এসেছে যুগে যুগে। মানব প্রকৃতি অনুভব-ক্ষম বুদ্ধিমত্তা এবং এর চাষ ও সঠিক উন্নয়ন, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ‘সৃষ্টিশীল বুদ্ধিমত্তা’ আর তার উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান নির্ধারণ জ্ঞান চর্চার মূল উদ্দেশ্য।————————-
শিক্ষার একটি মুল শাখা হলো আদর্শের অনুসন্ধান এবং তার বিশ্লেষণ। এই পৃথিবীতে যুগে যুগে মহান ব্যক্তিত্ব জন্ম নিয়েছেন আর তাদের রয়েছে কর্মময় জীবন। তারা মানব সভ্যতার উন্নয়নে যেভাবে কাজ করেছেন তেমনি অনেক মহান ব্যক্তিত্ব ধর্ম, জাতি, রাজনীতি, সমাজ বিজ্ঞান, বিশ্ব বহির্বিশ্ব , জীব জগৎ সবকিছু নিয়ে কাজ করে গেছেন। তাদের কর্মময় জীবন আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে, জীব জগৎ নিয়ে ভাবতে শেখায়, নিজের চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। তাঁদের আদর্শ আমাদের নিঃস্বার্থ হতে শিখায়, শিখায় পরের কারণে নিজের স্বার্থ বলি দিতে।
“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এই জীবন জগৎ সবই দাও”
এই বাক্য যেনো আজকাল শুধু পুঁথিগত বিদ্যা হয়ে গেছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের করে তুলছে স্বার্থপর, আমরা শুধু নিজেদের নিয়ে চিন্তা করতে শিখি, নিজেদের নিয়ে ভাবি।
আমাদের কাছে বর্তমান সময়ে সার্টিফিকেটটাই অর্জন মূল উদ্দেশ্য। মোটামোটি ভালো একটি স্কুলে ভর্তির জন্য ছোটবেলা থেকে শুরু হলো আমাদের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা এবং সাথে কিছু অর্থ যোগ আমাদের সুযোগ এনে দেয় একটি ভালো স্কুলে ভর্তির। তার পর থেকে শুরু হলো বুঝে না বুঝে মুখস্থ করা। মুখস্থ করে পাঠ্যবই করলাম ঠোটস্থ, পরীক্ষার খাতায় গিয়ে দিলাম গড় গড় বমি করে, পরীক্ষার পরদিনই ঝেড়ে ফেললাম সবকিছু মাথা থেকে। যা যথা-কিঞ্চিত থাকলো মাথায় তাও সময়ের ব্যবধানে মুছে যায় চেম্বার থেকে।
মুখস্থ লিখে এস,এস,সি – এইচ, এস,সি – অনার্স – মাষ্টার্স সব পাস করি, হাতে সার্টফিকেট আর মাথা একদম ফাঁকা। বিশ্বাস হচ্ছে না!!!???? মাস্টার্স পাস একটি ছাত্র/ছাত্রীকে আপনি বাংলাদেশের রাজনীতি এবং সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে একটি ২৫০শব্দের রচনা লিখতে বলেন ইংরেজিতে, পারছে না!!?? তাহলে তাকে বাংলায় লিখতে বলেন দেখি। এবং আমার ধারনা অনেক – অনেক ছাত্র ছাত্রীই তা পারবে না।
এর কারণ কি?
কারণ হয়তো আমরা বর্তমান সময়ে শিক্ষা (নাকি মুখস্থ-বিদ্যা) নিচ্ছি শুধু মাত্র একটি সম্মানজনক চাকরির জন্য। শিক্ষাকে নিয়ে গিয়েছি বাণিজ্যিক পর্যায়ে। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করে কোনো মতে একটি সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিচ্ছি শিক্ষার্থীদের হাতে। তারা কি শিখছে নাকি শিখছে না সেটা আদৌ মুখ্য নয়।
আমাদের ব্যবহারিক জীবনে আমাদের অর্জিত শিক্ষা কি আদৌ কাজে লাগছে?
আমার অনেক বন্ধু আছে যারা কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, সোসিওলজি নিয়ে লেখাপড়া করে এখন ব্যাংকার কোনো প্রতিষ্ঠানের সেলস অফিসার কিংবা প্রবাসী।
একটা ছোট্ট পরীক্ষা করতে পারেন, “ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি” এই নিয়ে সরকারী চাকুরীজীবীদের মধ্যে একটি রচনা প্রতিযোগিতা দিতে পারেন। প্রতিযোগিতার ফলাফলে যারা ১ম ,২য়,৩য় হবে তাদের মধ্যে একটু খোঁজ খবর নিন, দেখুন তো তারা ঘুষখোর কি না… কারণ আমার ধারনা ঘুষখোররাই পুরস্কৃত হবে। তাহলে খেয়াল করু এখানে তাদের নৈতিক শিক্ষার কি মূল্য থাকছে??
যে শিক্ষা আমাদের অর্থের নিশ্চয়তা দেয়, ফ্ল্যাটের গাড়ি বাড়ি সুন্দরী নারীর নিশ্চয়তা দেয়… কিন্তু নূন্যতম নৈতিক শিক্ষা দেয় না সেই শিক্ষা গায়ে একদলা থু থু দিলেও কম হবে।
No comments:
Post a Comment