#অনপেজ এসইও
যদিও ক্রমিক পোষ্ট হিসাবে এটা ইভেন্ট ব্লগিং এর সাথে যুক্ত করে ফেলেছি কিন্তু এটা মোটেও ইভেন্ট ব্লগিং এর অংশ নয় বরং সব ধরনের ব্লগিং এর অংশ
যে কোন ওয়েবসাইটের এসইও করতে গেলে আপনাকে প্রথম কাজ অনপেজ এসইও জানতে হবে। অনপেজ এসইও এর অনেক ধরনের এলিমেন্টস আছে । হেডলাইন সাব হেড লাইন, ছবি কন্টেন্ট বোল্ড আউট বাউন্ড লিঙ্কের ব্যবহার ইত্যাদি ইত্যাদি । পুর্নাংগ লিখার জন্য অনেক সময়ের প্রয়োজন । তাই আমি মুল কন্সেপ্টটা লিখে দিচ্ছি
#হেডিং অপ্টিমাইজেশন
হেডিং বলতে আমরা যা বুজি কোন আর্টিকে বা প্রবন্ধের হেডলাইন । একটা আর্টিকেল যখন আপনি লিখবেন তখন তার মধ্যে কিছু এইচটিএমএল এলিমেন্ট ব্যবহার করতে হয়। এরকম ই কিছু এলিমেন্টস এলিমেন্টস h1, h2, h3, h4, h5, h6
আপনার কন্টেন্টের জন্য এই হেডিং এলিমেন্ট গুলা গুরুত্বপুর্ন। আপনি যখন কন্টেন্ট লিখবেন তখন অবশ্যই মনে রাখা উচিত একই কন্টেন্টে একাধিক h1 ব্যবহার করবেন না । গুগল সাহেব তা ভাল চোখে দেখে না।
এরপর দুই তিনটি সাব হেডিং h2 দিতে পারেন । বাকি গুলা h3 h4 h5 ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
#কিভাবে নির্বাচন করবেন এই সাব হেডিং গুলা
প্রথম এবং আর্জেন্ট কথা হেডিং নির্বাচনের জন্য সেটা হবে আপনার সাইটের কন্টেন্টের সাথে প্রাসংগিক করবেন । নাহলে লাভ নাই ।এমন ভাবে ব্যবহার করবেন তা যেন ভিজিটরের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষ্ম হয়। পারলে কোনভাবে এই হেডিং গুলাকে হাই লাইট করে দিবেন ।
হেডিং এর নিচে যেই আর্টিকেল লিখবেন সেটা যেন কোনভাবেই ২০০-২৫০ ওয়ার্ডের চেয়ে বেশী না হয়। কেন ? হলে সমস্যা কি ?
বাংলা রচনা ছোটবেলায় সবাই কম বেশি পড়ছি। মনে পড়ে বড় বড় পয়েন্ট গুলা আমাদের পড়তে কষ্ট হত। দেখতে ভয় লাগত। এখানেও সেম। ভিজিটর চায় সার কথাটা । সে আপনার চেহেরা আসে নাই তার দরকার ইনফরমেশন। আর কিছু না
আমি তো ইনফরমেশন ই দিচ্ছি। আসুন আর একটু ভাল করে বুঝিয়ে দেই, বাংলা মিডিয়ামের যেই বই গুলা আছে সেই গুলার সাথে আন্তর্জাতিক ইংলিশ মিডিয়ামের বই গুলার কথা চিন্তা করুন ।
কি থাকে সেসব বই গুলা তে। বাংলা বইয়ে বিশাল প্রবন্ধ লিখে। কিন্তু ইংরেজি বই এ সুন্দর চিত্র থাকে। সহজেই দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। খুব সহজে হয় বলে এই জিনিস গুলা আমাদের অনেক সময় পড়তে ভাল লাগে।
আন্তর্জাতিক মান বাদ দেন উপন্যাস পড়তে গিয়ে পথের পাচালি যতটা স্লো মনে হয় কমিক্স বই ততটাই আনন্দ দায়ক হয়। ঠিক এই কারনেই আর্টিকেল বা প্যারা গুলা ছোট করবেন
হেডিং গুলা দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন
#প্রাসংগিক
#কি ওয়ার্ডের ব্যবহার
#দেখেই যেন বুঝা যায় এর ভিতরে কন্টেন্টে কি কি আছে
কিওয়ার্ডের ব্যবহার কিভাবে করব ?
এরজন্য খুব সহজ পদ্ধতি যেটা আমি ফলো করি গুগলে কোন কিছু সার্চ দেওয়ার পর নিচের দিকে রিলেটেড কি ওয়ার্ড দেখায়। সেখান থেকে আইডিয়া নিতে পারেন
এইভাবে আইডিয়া পেতে সমস্যা হলে আর একটা ছোট টিপস শেয়ার করে দেই । সোজা এলএস আই গ্রাফ ডট কম (lsigraph.com) এ ঢুকে যান আপনার কি ওয়ার্ডটা লিখে সার্চ দিন । এরপর দেখুন ম্যাজিক । যারা পরিচিত এই সাইটের সাথে তাদের জন্য না ।
#টাইটেল অপ্টিমাইজেশন
পোষ্টের টাইটেল্টা এমন হওয়া উচিত যেন তা যেন ভিজিটরের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষ্ম হয়। এট্রাক্টিভ টাইটেল অনেক গুরুত্বপুর্ন ।
কিছু আর্টিকেল টাইটেল জেনারেট করার জন্য ও ব্লগিং আইডিয়া পাওয়ার জন্য সাইটের লিস্ট দিলাম আশা করি কাজে লাগবে
http://www.contentrow.com/tools/link-bait-title-generator
http://tweakyourbiz.com/tools/title-generator/index.php
http://www.inboundnow.com/apps/kill-writers-block/
উপরের সাইট গুলাতে ভিজিট করুন ।তারপর আপনার কি ওয়ার্ড লিখুন আশা করছি ভাল লাগবে, তবে একটা কথা এইগুলা জাস্ট আইডিইয়া নেওয়ার জন্য ইউজ করবেন
#অন্যের টাইটেল চুরি করা
চুরি করলে তো কপি রাইট ধরবে। তাহলে আপনি কেন চুরি করতে বলতেছেন । আরে ভাই আগে তো জানেন কিভাবে চুরি করব । এই মুহুর্তে আপনার পছন্দের দুইটা ব্লগে ভিজিট করুন । আমিও করলাম। ধরেন আমি ভিজিট করলাম mashable.com/
এখন সাইটে ঢুকেই এই মাত্র স্লাইডে দেখলাম The 16 biggest tech stories of 2016 এই ধরনের একটা পোষ্ট। আমি টাইটেল পেয়ে গেছি। ভাই আমার সাইট তো ইভেন্ট তো ফ্রেন্ডশিপ ডে নিয়ে। উপরের হেড লাইন আমি কিভাবে ইউজ করব । খুব সহজ দেখেন
The 16 heartbroken friendship story of 2016 / ever
পাইছেন না পাইলে বলার কিছু নাই ।
#গিফটঃ প্রায় ১৫০০০ টাইটেলের টেম্পলেট সহ একটা ফাইল গিফট করব। কিভাবে করব কাদের করব সেটা আগেই বলে নিই। প্রথমত গুগল এডসেন্স ও ব্লগিং গ্রুপে এক্টিভ হতে হবে। আর টাইটেল গুলা আপনার যেকোন নিশের জন্য ইউজ করতে পারবেন । ভিজিটরদের এট্রাক্ট করতে পারে এরকম। একটা স্ক্রিনশট কমেন্টে দিয়ে দিব ।
আমি তো একটিভ আমি কি গিফট পাব। গত এক সাপ্তাহে আপনার লাইক কমেন্ট শেয়ার ও অন্যান্য এক্টিভিটির উপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে । এটা নিয়ে গ্রুপের শ্রদ্ধেয় এডমিন zafraan ভাই জানাবেন । পরের পোষ্টগুলাতে আরো গিফট আসতেছে (অনেক গুলা সফট এর প্রিমিয়াম ভার্স্ন আর এক্সক্লুসিভ কিছু টিপস)। পুরাটাই এই গ্রুপের এডমিন বৃন্দ নির্বাচন করবেন
কিছু কথা বলে রাখা ভাল যদিও সবাই কম বেশি জানে । টাইটেল কখন ৫৫-৬০ ক্যারেক্টারের বেশি রাখা উচিত না । যদিও গুগল আসলে ক্যারেক্টার হিসাব করে না করে পিক্সেল হিসাব। ৫১২ পিক্সেলের মধ্যে যা পারে তাই দেখায় গুগল ।
#মেটা ডিস্ক্রিপ্সশন অপ্টিমাইজেশন
এখন পর্যন্ত গুগল রেংকিং এর একটা ফ্যাক্টর ( সরাসরি না গুগল ২০০৯ সালে ঘোষনা করেছিল যে এটা ফ্যাক্টর না ) হচ্ছে মেটা ডিস্ক্রিপশন। আসলে টাইটেলের পরে মেটা ডিস্ক্রিপশন্টা দেখেই ভিজিটর বুঝে যায় ভিতরে কি আছে। ১৬০ ক্যারেক্টারের মধ্যে এইটা লিখা উচিত।
এবার কিছু উলটাপালটা কথা বলি। অনেকগুলা বিখ্যাত সাইট আছে যেমন মোজ , সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল আরো অনেক গুলা সাইট অনেক পোষ্টে মেটা ডিস্ক্রিপ্সশন ব্যবহার করে না । এতে সুবিধা হচ্ছে গুগুল তার কুয়েরি অনুসারে মেটা ডিস্ক্রিপ্সন দেখায়।
#অসুবিধা হচ্ছে ঃ অনেক সময় মেটা ডিস্ক্রিপ্সশন অনেক আজাইরা কথা বার্তা দেখায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারের সময় এটা উলটাপালটা ডিস্ক্রিপ্সন (আপনার কন্টেন্টের প্রথম দিকের ওয়ার্ড দেখায়)
না দিতে চাইলে কি করবেন
আমি ব্যক্তিগতভাবে দেই না । আমি যেটা করি আর্টিকেলের প্রথম অংশ এমনভাবে লিখি যেন তা মেটা ডিস্ক্রিপ্সন ও সোশ্যাল শেয়ারে কাজে লাগে।
#ফোল্ড নিয়ে আলোচনা
একজন ভিজিটর সাইটে ঢুকার পর প্রথম যে অংশ পড়তে পারে স্ক্রলিং করা ছাড়া সেটাই হচ্ছে ফোল্ড। এই জিনিস্টাই ভিজিটরকে পরবর্তী স্টেপে আগ্রহী করে তুলে। তাই প্রথম অংশ এমনভাবে দেওয়া উচিত যেন তা ট্রাফিকের কাজে লাগবে।
অহেতুক কথা বার্তা প্রথম দিকে পরিহার করা উচিত । এমন ভাবে লিখা উচিত যেন তা পরবর্তী অংশ পড়ার আগ্রহী করে তুলে ।
#বিং অপ্টিমাইজেশন
বিং সার্চ ইঞ্জিন মুলত কি ওয়ার্ড নির্ভর । তাই বেটার বিং এর সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য মেটা কি ওয়ার্ড অপশন্টা অন করে দিন। তারপর প্রতিটা পোষ্টে ৩ টা করে লং টেইল কি ওয়ার্ড যুক্ত করে দিন
#এএমপি
গতপরশু মে বি জাফরান ভাই এর পোষ্টে পড়লাম গুগল নিউ রেংকিং ফ্যাক্টর হচ্ছে । এ এম্পি কি সেটা অনেকেরই জানা। এটা আসলে একটা প্রজেক্ট । যেখানে জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরি ইউজ করে সাইটকে মোবাইলে দ্রুত লোড করে। অপ্রয়োজনীয় ইমেজ বা সাইডবার গুলা এটাতে দরকার হয় না ।
যারা ওয়ার্ড প্রেস ইউজ করেন তাদের জন্য https://wordpress.org/plugins/amp/ এই প্লাগিনটা ব্যবহার করতে পারেন । সাথে যদি ইয়োস্ট এসইও ব্যবহার করেন তবে https://wordpress.org/plugins/glue-for-yoast-seo-amp/ এই প্লাগিন্টা ইউজ করতে পারেন
#স্ট্রাকচার্ড ডাটা
আচ্ছা আপনি যে সাইটের টাইটেল দিচ্ছেন , সাইটের অথর কে , ওয়েবসাইটের মালিক কে , লোগো কি এইগুলা কেমনে বুঝে ।আবার দেখি গুগল মাঝে মাঝে সার্চ রেজাল্টের মধ্য পাশে ছোট করে ছবিও দেখায়। জি হ্য্য এটাই স্ট্রাকচার্ড ডাটা। গুগল সার্চ কন্সোলে রিচ স্নাইপেট দেখবেন । এটা স্ট্রাকচারড ডাটার কল্যানে।
আপনার সাইটটি স্ট্রাকচারড ডাটা স্টাইল মেইন্টেন করা আছে কিনা সেটা আপনি গুগল স্ট্রাকচার্ড ডাটা টেস্টিং টুলের সাহায্যে করতে পারবেন ।
https://search.google.com/structured-data/testing-tool
ভাবছিলাম আরো লিখব। কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখি অনেক টাইম লাগে। তারপর ও যা পারছি লিখলাম। অনপেজ এসইও নেক্সট পোষ্টে শেষ করে দিব। আগেই বলে রাখি অনপেজ এসইও এর অনেক ফ্যাক্টর আছে। সেগুলা নিয়ে আমার নিজস্ব গবেষনা গুলা লিখতে গেলে মোটামুটি ২০ টা পোষ্ট লাগবে। গুগলে যা আছে তাও অনেক খেলার ব্যাপার। পরের পোষ্টে কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি নিয়ে লিখব। ইমেজ অপটিমাইজেশন নিয়ে লিখব।
আর এই পোষ্টের গিফটটা দুই একদিনের মধ্যে দিয়ে দিব এডমিনদের পরামর্শ ক্রমে।
মতামত জানাতে কমেন্ট করে ফেলেন আর কি কি লাগবে অনপেজ এসইও এর আর কোণ কোন ফ্যাক্টর নিয়ে জানতে চান । নেক্সট পোষ্টে পেয়ে যাবেন
{স্বপ্নের ফেরিওয়ালা ভাইয়ের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রিহীত।}
No comments:
Post a Comment