২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ / সমমান শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালাঃ ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২৮ মে থেকে


যে সকল ভাইয়া এবং আপুরা এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে স্কুল জীবন শেষ করে কলেজ জীবনে পা রাখতে যাচ্ছ আমার আজকের পোস্টটি তাদের জন্যে। নিশ্চয় তোমরা তোমাদের স্বপ্নের কলেজটিতে ভর্তি হওয়ার জন্যে অনেক বেশি উত্তেজিত হয়ে আছ। তাহলে আসো এবার জেনে নেওয়া যাক ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।

এবার উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী ২৮ মে আর তোমাদের ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই। অপরদিকে পুনঃপরীক্ষণের ক্ষেত্রে যাদের ফল পরিবর্তন হবে তাদের জন্য আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ ১৬ জুন। বিলম্ব ফি ছাড়া ভর্তির শেষ তারিখ ৩০ জুন, বিলম্ব ফি’সহ ভর্তির শেষ তারিখ ২২ জুলাই। একাদশ শ্রেণীর ভর্তির জন্য এবারও কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। প্রতিবারের মতো শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই ভর্তি করা হবে।


ইতোমধ্যে একাদশ শ্রেণীতে ‘ভর্তি নীতিমালা-২০১৪’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ২৮ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ভর্তি ফরম উত্তোলন ও জমা (ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে) দেওয়া যাবে। ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২২ জুন।

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ / সমমান শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা:

নীতিমালা অনুযায়ী গত বছরের মতো এবারো ৩০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অনুমতি আছে, এমন সব প্রতিষ্ঠানে বোর্ডগুলো অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেবে। তবে ৫০০ জনের বেশি হলে অবশ্যই অনলাইনে ভর্তি নিতে হবে।
 
এবারও ভর্তি ফরমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা।

নীতিমালা অনুযায়ী সাতটি বিভাগীয় শহরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮০ শতাংশ আসন উন্মুক্ত থাকবে। অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পষর্দের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

এছাড়া বাকি ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ইচ্ছেমতো ভর্তি করাতে পারবে। বিভাগীয় শহর ছাড়া অন্য জেলা শহরের কলেজের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সব বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ ৪৩ গ্রেড পয়েন্ট ধরে জিপিএ’র ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে।

বিজ্ঞান শাখা থেকে কৃতকার্যরা যে কোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে কৃতকার্যরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। আর ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।

বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।

স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে।

এর আগে ১৭ মে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।

No comments:

Post a Comment